নারী উদ্যোক্তাকে রিমান্ডে নিয়ে দাবি করেছিলেন ৩০ লাখ টাকা। আর তা দিতে অস্বীকার করায় বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয় তার স্তন ও গোপনাঙ্গে। এতে অজ্ঞান হয়ে গেলেও শরীরের আরও কয়েক স্থানে দেয়া হয় গরম তারের ছ্যাঁকা।
এভাবে রিমান্ডের নামে নির্যাতনে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছেন কক্সবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানস বড়ুয়া।
মঙ্গলবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজের ওপর ঘটে যাওয়া এসব দুঃসহ স্মৃতি বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নারী উদ্যোক্তা জীবন আরা।
তিনি বলেন, কক্সবাজার শহরতলীর লিংকরোড়স্থ নিজস্ব পাকা ভবনের দ্বিতীয় তলায় অন্য দিনের মতো ব্যবসায়ী স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। মাঝ রাতে পুলিশ তাদের ডেকে বাড়িতে ঢুকে। কিছু বুঝে উঠার আগেই বাড়ি তল্লাশির কথা বলে সবাইকে চোখ বেঁধে এক কোণে বসিয়ে রাখা হয়। এরপর এক পুলিশ বলে উঠে- 'স্যার, ইয়াবা পাওয়া গেছে।'
জীবন আরা বলেন, বাড়িতে ইয়াবা পাওয়ার কথা বলে রাতেই স্বামী আলী আহমদ সওদাগর ও তাকে রাতে থানায় এনে হাজতে রাখা হয়। তাদেরকে আনার সময় পুলিশ বাসা থেকে ব্যাংক চেক, স্বর্ণালংকার ও একটি প্রাইভেট কারও নিয়ে যায়। কিন্তু সিজার লিস্টে গাড়িটি জব্দের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি। স্বামী-স্ত্রীকে তিন দিন থানা হাজতে রেখে মাদক মামলায় জীবন আরাকে এক নাম্বার আসামি করে চালান দেয়া হয়।
এই নারী উদ্যোক্তা দাবি করেন, কারাগারে নেয়ার ১০ দিন পর রিমান্ডের নামে তাকে থানায় এনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মানস বড়ুয়া প্রথমে তার স্বজনদের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মধ্যযুগীয় কায়দায় তার স্তন ও গোপনাঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন শরীরের আরও কয়েক স্থানে ছ্যাঁকায় ফোস্কা পড়েছে।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় তাকে কারাগারে দিয়ে আসা হয়। বিনা চিকিৎসায় থাকায় বৈদ্যুতিক শকের ক্ষতস্থান থেকে পঁচা গন্ধ বের হলে কারা কর্তৃপক্ষ পরে সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নথিতে বৈদ্যুতিক শকের কথা উল্লেখ করেছেন।
জীবন আরা বলেন, এসব কথা উল্লেখ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতে জামিন চাওয়া হয়। আদালত নারী কর্মকর্তা দিয়ে চেকআপ করার পর তথ্যের সত্যতা পেয়ে অবশেষে জামিন দেয়।
তিনি বলেন, এরপর কোথাও কোনো অভিযোগ কিংবা কিছু করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি বসায় পুলিশ। কক্সবাজার হাসপাতালে পুলিশ বার বার হয়রানি করছে দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নির্যাতিতা এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, চমেকে তার শারিরীক অবস্থা দেখে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, যথাযথ চিকিৎসা না পেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন তিনি।
কেন এই পুলিশি হয়রানি- এমন প্রশ্ন করা হলে জীবন আরা বলেন, তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। নিজ ভবনে তার একটি বিউটি পার্লার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। প্রতি তিন মাসে এক ব্যাচে ১৫ নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন। পেয়েছেন সরকারি উদ্যোক্তা ঋণও।
তিনি বলেন, এ সুবাদে ঢাকার পশ্চিম উত্তরার কামালপাড়ার সিরাজুল হকের স্ত্রী সীমা আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি কক্সবাজার এসে ঢাকায় যৌথ মূলধনে একটি পার্লার করার প্রস্তাব দেন। তার কথা বিশ্বাস করে চুক্তির পর ২৩ লাখ টাকাও দেয়া হয়। এটিই কাল হয়েছে তার।
তিনি দাবি করেন, সীমা ব্যবসা খোলার পরিবর্তে ওই টাকায় ঢাকায় বাড়ি নির্মাণ করছেন। জানতে পেরে ঢাকায় গিয়ে নোটারির মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকার পরিবর্তে তার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার বন্ধক দেন সীমা। কথা ছিল টাকা পরিশোধ করে গাড়ি নিয়ে যাবেন।
'কিন্তু তা না করে ১০ লাখ টাকায় কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ কয়েক অফিসারের সঙ্গে চুক্তি করে আমাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন সীমা। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ইয়াবা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে তার গাড়ি তাকে ফেরত দিয়েছে পুলিশ' অভিযোগ করেন জীবন আরা।
তিনি দাবি করেন, তার সঙ্গে করা ডিট ও গাড়ির সব কাগজপত্র এখনো তার হেফাজতে রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে জামিনে এলেও আটকের দিন বাড়ি থেকে নিয়ে আসা জিনিসের হদিস দিচ্ছে না পুলিশ।
সীমার দেয়া টাকা পাওয়ার পর ব্যবসায়ী স্বামীর কাছ থেকে টাকা আদায়ে ওসিসহ অন্যরা পরিকল্পনা করে তার ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালান বলে অভিযোগ করেন এই নারী উদ্যোক্তা।
তিনি বলেন, কারাগার থেকে বের হয়ে নির্যাতনের বিচার পেতে সহায়তার জন্য শহরের ঝাউতলা নারী কল্যাণ সমিতিতে যান তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে পুলিশ আবার তার ওপর হামলা চালায়। ওইসময় নুনিয়ারছড়া এলাকায় ইট দিয়ে পিটিয়ে তার দেবর জাহাঙ্গীরের পা ভেঙে দেন এসআই মানস।
জীবন আরা আরও জানান, সদর থানা পুলিশের পরিকল্পনায় এসআই মানস বড়ুয়ার অমানবিক নির্যাতনের বিষয় উল্লেখ করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ পুলিশ সদর দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকেও।
এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা এই নারী উদ্যোক্তা।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার নারী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফাতেমা নার্গিস ডেজী, সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা, অর্থ সম্পাদক রেহেনা আক্তার পাখি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে এসআই মানস বড়ুয়া সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'অভিযোগকারিনী আমার তদন্তাধীন মামলার আসামি। তাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই পারেন। এতে আমার কিছুই হবে না।'
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন বলেন, 'একজন নারীকে আমার এক এসআই কর্তৃক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্ত করছেন।'
তিনি বলেন, উভয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজের ওপর ঘটে যাওয়া এসব দুঃসহ স্মৃতি বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নারী উদ্যোক্তা জীবন আরা।
তিনি বলেন, কক্সবাজার শহরতলীর লিংকরোড়স্থ নিজস্ব পাকা ভবনের দ্বিতীয় তলায় অন্য দিনের মতো ব্যবসায়ী স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। মাঝ রাতে পুলিশ তাদের ডেকে বাড়িতে ঢুকে। কিছু বুঝে উঠার আগেই বাড়ি তল্লাশির কথা বলে সবাইকে চোখ বেঁধে এক কোণে বসিয়ে রাখা হয়। এরপর এক পুলিশ বলে উঠে- 'স্যার, ইয়াবা পাওয়া গেছে।'
জীবন আরা বলেন, বাড়িতে ইয়াবা পাওয়ার কথা বলে রাতেই স্বামী আলী আহমদ সওদাগর ও তাকে রাতে থানায় এনে হাজতে রাখা হয়। তাদেরকে আনার সময় পুলিশ বাসা থেকে ব্যাংক চেক, স্বর্ণালংকার ও একটি প্রাইভেট কারও নিয়ে যায়। কিন্তু সিজার লিস্টে গাড়িটি জব্দের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি। স্বামী-স্ত্রীকে তিন দিন থানা হাজতে রেখে মাদক মামলায় জীবন আরাকে এক নাম্বার আসামি করে চালান দেয়া হয়।
এই নারী উদ্যোক্তা দাবি করেন, কারাগারে নেয়ার ১০ দিন পর রিমান্ডের নামে তাকে থানায় এনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মানস বড়ুয়া প্রথমে তার স্বজনদের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মধ্যযুগীয় কায়দায় তার স্তন ও গোপনাঙ্গে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন শরীরের আরও কয়েক স্থানে ছ্যাঁকায় ফোস্কা পড়েছে।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় তাকে কারাগারে দিয়ে আসা হয়। বিনা চিকিৎসায় থাকায় বৈদ্যুতিক শকের ক্ষতস্থান থেকে পঁচা গন্ধ বের হলে কারা কর্তৃপক্ষ পরে সদর হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নথিতে বৈদ্যুতিক শকের কথা উল্লেখ করেছেন।
জীবন আরা বলেন, এসব কথা উল্লেখ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতে জামিন চাওয়া হয়। আদালত নারী কর্মকর্তা দিয়ে চেকআপ করার পর তথ্যের সত্যতা পেয়ে অবশেষে জামিন দেয়।
তিনি বলেন, এরপর কোথাও কোনো অভিযোগ কিংবা কিছু করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি বসায় পুলিশ। কক্সবাজার হাসপাতালে পুলিশ বার বার হয়রানি করছে দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নির্যাতিতা এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, চমেকে তার শারিরীক অবস্থা দেখে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, যথাযথ চিকিৎসা না পেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন তিনি।
কেন এই পুলিশি হয়রানি- এমন প্রশ্ন করা হলে জীবন আরা বলেন, তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। নিজ ভবনে তার একটি বিউটি পার্লার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। প্রতি তিন মাসে এক ব্যাচে ১৫ নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছেন। পেয়েছেন সরকারি উদ্যোক্তা ঋণও।
তিনি বলেন, এ সুবাদে ঢাকার পশ্চিম উত্তরার কামালপাড়ার সিরাজুল হকের স্ত্রী সীমা আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তিনি কক্সবাজার এসে ঢাকায় যৌথ মূলধনে একটি পার্লার করার প্রস্তাব দেন। তার কথা বিশ্বাস করে চুক্তির পর ২৩ লাখ টাকাও দেয়া হয়। এটিই কাল হয়েছে তার।
তিনি দাবি করেন, সীমা ব্যবসা খোলার পরিবর্তে ওই টাকায় ঢাকায় বাড়ি নির্মাণ করছেন। জানতে পেরে ঢাকায় গিয়ে নোটারির মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকার পরিবর্তে তার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার বন্ধক দেন সীমা। কথা ছিল টাকা পরিশোধ করে গাড়ি নিয়ে যাবেন।
'কিন্তু তা না করে ১০ লাখ টাকায় কক্সবাজার সদর থানার ওসিসহ কয়েক অফিসারের সঙ্গে চুক্তি করে আমাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন সীমা। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ইয়াবা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে তার গাড়ি তাকে ফেরত দিয়েছে পুলিশ' অভিযোগ করেন জীবন আরা।
তিনি দাবি করেন, তার সঙ্গে করা ডিট ও গাড়ির সব কাগজপত্র এখনো তার হেফাজতে রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে জামিনে এলেও আটকের দিন বাড়ি থেকে নিয়ে আসা জিনিসের হদিস দিচ্ছে না পুলিশ।
সীমার দেয়া টাকা পাওয়ার পর ব্যবসায়ী স্বামীর কাছ থেকে টাকা আদায়ে ওসিসহ অন্যরা পরিকল্পনা করে তার ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালান বলে অভিযোগ করেন এই নারী উদ্যোক্তা।
তিনি বলেন, কারাগার থেকে বের হয়ে নির্যাতনের বিচার পেতে সহায়তার জন্য শহরের ঝাউতলা নারী কল্যাণ সমিতিতে যান তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে পুলিশ আবার তার ওপর হামলা চালায়। ওইসময় নুনিয়ারছড়া এলাকায় ইট দিয়ে পিটিয়ে তার দেবর জাহাঙ্গীরের পা ভেঙে দেন এসআই মানস।
জীবন আরা আরও জানান, সদর থানা পুলিশের পরিকল্পনায় এসআই মানস বড়ুয়ার অমানবিক নির্যাতনের বিষয় উল্লেখ করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারসহ পুলিশ সদর দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকেও।
এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা এই নারী উদ্যোক্তা।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার নারী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফাতেমা নার্গিস ডেজী, সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা, অর্থ সম্পাদক রেহেনা আক্তার পাখি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে এসআই মানস বড়ুয়া সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'অভিযোগকারিনী আমার তদন্তাধীন মামলার আসামি। তাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই পারেন। এতে আমার কিছুই হবে না।'
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন বলেন, 'একজন নারীকে আমার এক এসআই কর্তৃক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তদন্ত করছেন।'
তিনি বলেন, উভয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
Post a Comment